[Question] রেহেলা গ্রন্থের রচয়িতা কে?
(ক) | ইবনে বতুতা |
(খ) | গোলাম হোসেন সেলিম |
(গ) | সাবিরিদ খান |
(ঘ) | ফকির গরীবুল্লাহ |
সংক্ষেপে ব্যাখ্যাঃ
রেহেলা গ্রন্থের রচয়িতা হলেন ইবনে বতুতা ৷
সপ্তম শতাব্দীর বিখ্যাত পরিব্রাজক ইবনে বতুতার প্রায় ত্রিশ বছরের বিশ্বভ্রমণের আদ্যোপান্ত বিবরণ। যেখানে উঠে এসেছে তৎকালীন পৃথিবীর ভূচিত্র, রাজনীতি, সমাজব্যবস্থা, জীবনপ্রবাহ, কৃষ্টি, ধর্মাচার ও সংস্কৃতির বাস্তব চিত্র।
ইবনে বতুতার বিশ্বভ্রমণ
৭২৫ হিজরিতে বিশ্ববিখ্যাত পর্যটক ইবনে বতুতা তার ঐতিহাসিক বিশ্বভ্রমণ শুরু করেন উত্তর মরক্কোর তাঞ্জিয়ার নগরী থেকে। যাকে আরবিতে বলে, তানজা। উদ্দেশ্য, মক্কা নগরীতে এসে হজ আদায় করবেন। সেই যাত্রাপথে তিনি ভ্রমণ করেন উত্তর আফ্রিকা ও মিসরের উঁচু অঞ্চল। এরপর লোহিত সাগর পাড়ি দেন।
এই পথে বিপর্যয় নেমে এলে তিনি পথ বদল করে শামদেশ ও ফিলিস্তিন হয়ে মদীনায় পৌঁছেন। সেখান থেকে যান পবিত্র মক্কা নগরীতে। প্রথম হজ আদায় করে আবারও তিনি বেরিয়ে পড়েন। এবারের যাত্রা ইরাকের উদ্দেশে। এ সময় তিনি মুসেল, দিয়ারে বকর প্রভৃতি অঞ্চল ভ্রমণ করে দ্বিতীয়বারের মতো মক্কা নগরীতে ফিরে আসেন। ৭২৯ হিজরিতে তিনি হজ আদায় করেন।
৭৩০ হিজরিতে তিনি আবারও বেরিয়ে পড়েন। এবারের যাত্রায় তিনি দক্ষিণ আরব, পশ্চিম আফ্রিকা ও পারস্য অঞ্চলের দেশগুলোতে ভ্রমণ করেন। হুরমুজ হয়ে মক্কায় ফিরে মিসর ও শামদেশের পথ ধরে আবারও বেরিয়ে পড়েন। এ সময় তিনি কুসতুনতুনিয়া ভ্রমণ করেন। সেখান থেকে খাওয়ারিজম, বুখারা ও আফগানিস্তান হয়ে হিন্দুস্তানে পৌঁছেন। আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশে এসে তার ভবঘুরে মন এদেশের মায়ার বাঁধনে জড়িয়ে পড়ে। এসময় তিনি দিল্লির বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেন।
এরপর তিনি চীনের উদ্দেশে রওনা হন। যাত্রাপথে তিনি মালদ্বীপে দীর্ঘ সময় অবস্থান করেন। সেখান থেকে আমাদের মাতৃভূমি বাল্লার পথ ধরে যাত্রা শুরু করেন। শেষতক চীনের জাইতুন অঞ্চলে পৌঁছেন। সেখান থেকে সুমাত্রা অঞ্চলের পথ ধরে আরবের উদ্দেশে প্রত্যাবর্তন করেন। শাম ও মিসর হয়ে চতুর্থবারের মতো মক্কা নগরীতে আগমন করেন।
হজ শেষে উত্তর আফ্রিকার দেশগুলো ভ্রমণ করে ৭৫০ হিজরিতে ফেজ নগরীতে পৌঁছেন। সেখান থেকে গ্রানাডা হয়ে আফ্রিকায় ফিরে আসেন। এরপর ৭৫৪ হিজরিতে তাম্বাকো ও মালি ঘুরে মরক্কোতে ফিরে আসেন।
সুতরাং রেহেলা গ্রন্থের রচয়িতা হলো ইবনে বতুতা ৷
Also Read More:—