[Question] মানসী কাব্য গ্রন্থটি কার লেখা?
(ক) | কাজী নজরুল ইসলাম |
(খ) | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
(গ) | মাইকেল মধুসূদন দত্ত |
(ঘ) | জীবনানন্দ দাস |
সংক্ষেপে ব্যাখ্যাঃ
এখানে মানসী কাব্য গ্রন্থটি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর লেখা ৷
‘মানসী’ (১৮৯০) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যকলার পূর্ণপ্রতিষ্ঠামূলক কার্যাগ্রন্থ। তাই কবি বুদ্ধদেব বসু ‘মানসী’ কাব্যাকে রবীন্দ্র-কাব্যের অণুবিশ্ব বালেছেন। এখানে বৃহৎ প্রকৃতির প্রভাব কবির আবেগ ও অনুভূতির উপর ক্রিয়াশীল। রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, “নূতন আবেষ্টনে এই কবিতাগুলি সহসা যেন নবদেহ ধারণ করল। […] আমার রচনার এই পর্বেই যুক্ত অক্ষরকে পূর্ণমূল্য দিয়ে ছন্দকে নূতন শক্তি দিতে পেরেছি।
‘মানসী’তেই ছন্দের নানা খেয়াল দেখা দিতে আরম্ভ করেছে। কবির সঙ্গে যেন একজন শিল্পী এসে যোগ দিল।” মানসীর কবিতাগুলো দুই ভাগে বিভক্ত। একদিকে অতীত জীবনের পিছুটানমূলক কবিতা, অন্যদিকে নবযৌবনের নিরুদ্ধ কর্ম-উদ্দীপনার খরদীপ্তি। ‘নিষ্ফল কামনা’ এই গ্রন্থের উল্লেখযোগ্য কবিতা। এছাড়াও আছে দুরন্ত আশা, ভুলভাঙ্গা, কুহুধ্বনি, সুরদাসের প্রার্থনা, মেঘদূত, অহল্যার প্রতি, আত্মসমর্পণ ইত্যাদি কবিতা।
রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিভাণ্ডারে কাব্যগ্রন্থ ৫৬টি, গীতিপুস্তক ৪টি, ছোটগল্প ১১৯টি, উপন্যাস ১২টি, ভ্রমণ-কাহিনি ৯টি, নাটক ২৯টি, কাব্যনাট্য ১৯টি, চিঠিপত্রের বই ১৩টি, গানের সংখ্যা ২২৩২টি এবং অঙ্কিত চিত্রাবলি প্রায় দুহাজার।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অন্যান্য কাব্যগ্রন্থগুলোঃ
মানসী (১৮৯০), সোনার তরী (১৮৯৪), চিত্রা (১৮৯৬), চৈতালী (১৮৯৭), কল্পনা (১৯০০), ক্ষণিকা (১৯০০), গীতাঞ্জলি (১৯১০), বলাকা (১৯১৬), পূরবী (১৯২৫), পুনশ্চ (১৯৩২), পত্রপুট (১৯৩৬), সেঁজুতি (১৯৩৮), শেষলেখা (১৯৪১)।
Also Read More:—