[Question] মেঘনাদবধ কাব্যের তৃতীয় সর্গের নাম কি?
(ক) | সমাগম |
(খ) | অশোকবন |
(গ) | অস্ত্রলাভ |
(ঘ) | শক্তিনির্ভেদ |
সংক্ষেপে ব্যাখ্যাঃ
মেঘনাদবধ কাব্যের তৃতীয় সর্গের নাম ‘সমাগম’ ৷
তৃতীয় সর্গঃ
- ১. প্রমোদ উদ্যাগে প্রমীলা ও বাসন্তীর কথোপকথন।
- ২. প্রমীলার যুদ্ধসজ্জা ও লঙ্কাপুরীর উদ্দেশ্যে যাত্রা।
- ৩. রামচন্দ্রের কাছে প্রমীলার আগমন বার্তা জ্ঞাপন।
- ৪. রাম ও বিভীষণের কথোপকথন।
- ৫. প্রমীলার লঙ্কা প্রবেশ এবং উমা-বিজয়ার কথোপকথন।
মেঘনাদবধ কাব্য তৃতীয় সর্গ ব্যাখ্যা
মেঘনাদ প্রমোদ উদ্যান ছেড়ে আসার সময় প্রমীলাকে বলে এসেছিলেন যে, তিনি খুব তাড়াতাড়ি শত্রু হত্যা করে ফিরে আসবেন। তাঁকে ফিরতে দেরি দেখে প্রমীলা উদ্বিগ্ন হন। সখীরা সান্ত্বনা দিয়ে ব্যর্থ হল। প্রমীলা লঙ্কাপুরীতে প্রবেশ করে স্বামীর কাছে যাবেন বলে সিদ্ধান্ত নিলেন। সখীরা রাজি না হলে প্রমীলা জানালেন যে, রাক্ষসবধূ হিসেবে তাঁর ভয় পাওয়া উচিত নয় এবং তিনি যুদ্ধ করেই লঙ্কায় প্রবেশ করবেন। প্রমীলা ও তাঁর সখীরা যুদ্ধ সাজে সজ্জিত হয়ে লঙ্কার প্রবেশ দ্বারে উপনীত হলেন। দ্বাররক্ষক হনুমান বাধা দিল। হনুমান তাদের পরিচয় জানতে চাইলে প্রমীলার অন্যতম সখী নিজেদের পরিচয় দিল। হনুমান প্রমীলার পরিচয় পেয়ে বিস্মিত হল। সে প্রমীলার সাথে কোনও বিরোধে যেতে চাইল না। প্রমীলাও তা চান না। তাই প্রমীলা লঙ্কা প্রবেশের ইচ্ছার কথা জানিয়ে রামের কাছে দূতী পাঠালেন।
রামচন্দ্র শিবিরে বসে দেবঅস্ত্র ব্যবহারের সমস্যা সম্পর্কে ভাবছেন। এমন সময় দূতী সেখানে উপস্থিত হয়ে প্রমীলার লঙ্কা প্রবেশের ইচ্ছার কথা জানাল। রাম দূতীকে দেখে বিস্মিত হলেন। দূতী জানাল যে, রামচন্দ্র ইচ্ছা করলে যুদ্ধ করতে পারেন অথবা বিনা যুদ্ধে দ্বার ছেড়ে দিতে পারেন। রাম নারীদের সাথে যুদ্ধ না করে মহত্ত্ব দেখালেন। তিনি হনুমানকে পথ ছেড়ে দেওয়ার আদেশ দিলেন। প্রমীলার পরাক্রম দেখার জন্য বিভীষণ রামকে অনুরোধ জানালেন। রাম দূতীকে দেখেই বুঝতে পেরেছিলেন। রাক্ষসনারীরা বীরদর্পে লঙ্কাপুরীর দিকে চলে গেল। রামচন্দ্র তা দেখে অভিভূত হয়ে তাদের প্রশংসা করলেন। রাম এই ভয়াবহ যুদ্ধে শঙ্কিত হয়েও দেবঅস্ত্রে বলীয়ান বলে মনের ভয় দূর করলেন।
দ্বারী দ্বার খুলে দিল। প্রমীলা লঙ্কাপুরীর ভিতরে প্রবেশ করলেন। তাঁর স্বামীর সাথে সাক্ষাত হল। লঙ্কাপুরীতে আনন্দ দেখা দিল।
রামচন্দ্রের শিবিরে বিভীষণসহ লক্ষ্মণ সেনাবাহিনী তদারক করছেন। কৈলাসে উমা স্বামীকে প্রমীলার সখীসহ লঙ্কাপুরী প্রবেশের দৃশ্য দেখালেন। তিনি ছিলেন মেঘনাদ ও প্রমীলার প্রতি অনুরক্ত। তবু মেঘনাদ হত্যায় তিনি রামকে সাহায্য করছেন। তাই তিনি স্থির করলেন, নিহত হওয়ার পর মেঘনাদ শিবের সেবক হবেন এবং প্রমীলা হবেন উমার সখী।
আরও পড়ুনঃ