[Question] পদ্মার পলিদ্বীপ কার রচনা বা লেখা?
(ক) | আবু ইসাহাক |
(খ) | জাহানারা ইমাম |
(গ) | মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় |
(ঘ) | মাহবুবুল আলম |
সংক্ষেপে ব্যাখ্যাঃ
পদ্মার পলিদ্বীপ আবু ইসাহাক এর লেখা বা রচনা ৷ তাঁর অন্যান্য গ্রন্থের নাম ও ধরন উপন্যাস: ‘পদ্মার পলিদ্বীপ’ (১৯৮৬), ‘জাল’ (১৯৮৮); গল্পগ্রন্থ: ‘হারেম’ (১৯৬২), ‘মহাপতঙ্গ’ (১৯৬৩)।
আবু ইসহাকের দীর্ঘ সময়ব্যাপী রচিত উপন্যাস ‘পদ্মার পলিদ্বীপ’। ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকার মুক্তধারা থেকে উপন্যাসটি প্রকাশ পেলেও ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দে আবু ইসহাক উপন্যাসটি রচনায় হাত দেন। উপন্যাসের প্রথম ষোলটি অধ্যায় বাংলা একাডেমীর ‘উত্তরাধিকার’ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে মে ১৯৭৪ থেকে ফেব্রুয়ারি ১৯৭৬ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়। অবশ্য তখন এর নাম ছিল ‘মুখর মাটি’ এর অনেক পরে আবু ইসহাক উপন্যাসটি বত্রিশটি অধ্যায়ে সমাপ্ত করেন এবং এর নামবদল করে দেন ‘পদ্মার পলিদ্বীপ’।
দ্বিতীয় নামটি সাদামাটা; উপন্যাসটি না পড়েও এতে কী আছে তা বোঝা যায়। প্রথম নামটি ছিল বহুগুণে সাহিত্য গুণসম্পন্ন, প্রতীকী। ‘পদ্মার পলিদ্বীপ’ একটি আঞ্চলিক উপন্যাস। পদ্মানদীকে বলা হয় ‘কীর্তিনাশা’। কারণ চাঁদরায়- কেদাররায়-রাজবল্লভ প্রমুখ বারভূঁইয়াদের কীর্তি এ নদী ধ্বংস করেছে। এ উপন্যাসে পদ্মাতীরবর্তী চরকেন্দ্রিক অধিবাসী, তাদের চরদখল, জীবন-সংগ্রাম মুখ্য। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রতিক্রিয়া (যেমন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি) যে গ্রামীণ বা চরাঞ্চলের মানুষের উপরও পড়েছিল তা এ উপন্যাসে প্রতিভাত।
ফজল এ উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র। এছাড়া এরফান মাতব্বর, আরশেদ মোল্লা, জঙ্গুরুল্লা, জরিনা, রূপজান ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। উপন্যাসটি গতানুগতিক। পঁচিশ বছর আগের লেখা ও বিষয়-নির্বাচন আড়াই দশক পড়ে অনিবার্যভাবেই পুরোনো হয়ে যায়। আবু ইসহাকের এ উপন্যাসেও মধ্য আশির দশকে নতুন কোনো চমক ছিল না, যেমন চমক ছিল তাঁর ‘সূর্য-দীঘল বাড়ী’তে।
Also Read More:—