পৌরনীতিকে নাগরিকতা বিষয়ক বিজ্ঞান বলা হয় কেন? MCQ

4.8/5(9 votes)

MCQ || পৌরনীতিকে নাগরিকতা বিষয়ক বিজ্ঞান বলা হয় কেন?

A)নগরসমূহ নিয়ে আলোচনা করার জন্য
B)রাষ্ট্র নিয়ে আলোচনা করার জন্য
C)সরকার নিয়ে আলোচনার জন্য
D)নাগরিক জীবনের সাথে জড়িত বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য

উত্তরঃ D) নাগরিক জীবনের সাথে জড়িত বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য

পৌরনীতিকে নাগরিকতা বিষয়ক বিজ্ঞান বলা হয় কারণ এটি নাগরিক জীবনের সাথে জড়িত বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য ৷

সংস্কৃত ভাষায় নগরকে ‘পুর’ বা ‘পুরী’ এবং নগরের অধিবাসীদেরকে বলা হয় ‘পুরবাসী’। এ জন্যই নাগরিক জীবনের অপর নাম ‘পৌর জীবন’ এবং নাগরিক জীবন সম্পর্কিত বিদ্যার নাম ‘পৌরনীতি’। প্রাচীন গ্রিসে এক একটি নগর ছিল এক একটি রাষ্ট্র। প্রাচীন গ্রিসের এথেন্স, স্পার্টা প্রভৃতি নগর-রাষ্ট্রগুলোর আয়তন ও জনসংখ্যা ছিল সীমিত।

নগর-রাষ্ট্রের সকল সদস্যকে নাগরিক বলা হতো না। নগর-রাষ্ট্রের মধ্যে শুধু যারা রাজনৈতিক অধিকার ভোগ করতো অর্থাৎ রাষ্ট্র পরিচালনায় অংশগ্রহণ করতো শুধু তাদেরকেই ‘নাগরিক’ বলা হতো। নাগরিকদের অধিকার ও কর্তব্য নিয়ে আলোচনা করা হতো পৌরনীতিতে। সুতরাং শব্দগত বা মূলগত অর্থে পৌরনীতির অর্থ ছিল অনেকটা সীমিত ও সংকীর্ণ।

কিন্তু বর্তমানে পৌরনীতিকে শুধুমাত্র শব্দগত অর্থে আলোচনা করা হয় না। কেননা, আধুনিক রাষ্ট্রগুলো প্রাচীন গ্রিসের ‘নগররাষ্ট্র’ (City state) নয়, বরং এগুলো এখন ‘জাতি রাষ্ট্র’ (Nation state)। প্রাচীন গ্রিক নগর-রাষ্ট্রগুলো অপেক্ষা আধুনিক জাতি রাষ্ট্রগুলো আয়তনে যেমন বিশাল, জনসংখ্যাও তেমনি বিপুল। আধুনিক জাতি-রাষ্ট্রে (Nation State) নাগরিকের ধারণাও পরিবর্তিত হয়েছে।

বর্তমানে নাগরিক হলো সেই ব্যক্তি যিনি রাষ্ট্রের মধ্যে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন, রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য পোষণ করেন, রাষ্ট্রের প্রতি তার দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করেন এবং রাষ্ট্র স্বীকৃত সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার ভোগ করেন। এসব ‘জাতি রাষ্ট্রে’ নাগরিকদের জীবন এবং কার্যাবলি বহুমুখী ও জটিল।

আধুনিক রাষ্ট্রের নাগরিকদের আচরণ, কার্যাবলি এবং তাদের বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ধারাবাহিক পর্যালোচনার মাধ্যমে যে শাস্ত্র আদর্শ নাগরিক জীবনের ইঙ্গিত দান করে, তাই হলো ‘সিভিক্স’ বা ‘পৌরনীতি’। পৌরনীতি মূলত সামাজিক বিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা।

আরও দেখুনঃ-

Scroll to Top