লেখক মাহমুদ বিন নূর এর বই নফসের বিরুদ্ধে লড়াই PDF এবং হার্ডকপি অনেকে খুজে থাকেন ৷ আমরা মনে করি শয়তানই শুধু আমাদের বড় শত্রু কিন্ত এর থেকেও মারাত্মক শত্রু হলো আমাদের নফস ৷ আর এই নফসের বিরুদ্ধের লড়াই এবং একে লাগাম দিয়ে রাখা যায় কিভাবে এই নিয়ে লেখা মাহমুদ বিন নুর স্যারের বইটি ৷ আশা করি বইটি পড়ে উপকৃত হবেন ৷
বই পরিচিতি
- বইয়ের নামঃ নফসের বিরুদ্ধে লড়াই ৷
- লেখকঃ মাহমুদ বিন নূর ৷
- প্রকাশনীঃ রাইয়ান প্রকাশন ৷
- ক্যাটাগরিঃ ইসলামিক আত্ম-উন্নয়ন বই ৷
- দাম(হার্ডকপি) ১৪৩ টাকা মাত্র(রকমারি) ৷
নাফসের পরিশুদ্ধি দীনের একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নাফস পরিশুদ্ধ হওয়া ছাড়া মানুষের ঈমান ও ইসলাম কখনো বিশুদ্ধ ও পরিপূর্ণ হয় না। উল্লেখ্য যে, মানুষের দুটি দিক রয়েছে। একটি হলো বাহ্যিক, অপরটি হলো অভ্যন্তরীণ বা আত্মিক। ইসলাম যেমন মানুষের বাহ্যিক দিককে পূত-পবিত্র করতে চায়, তেমনি তার ভেতরের দিকটিকেও সম্পূর্ণ কলুষমুক্ত ও সুন্দর করতে চায়। মানুষের এ অভ্যন্তরীণ অর্থাৎ আত্মিক দিকটির পরিশুদ্ধিকেই কোরআনের ভাষায় ‘তাযকিয়াহ’ বলা হয়।
নফসের বিরুদ্ধে লড়াই বা আত্মশুদ্ধির উপায়
একটি উচ্চাভিলাষী, উন্নত হৃদয়ে যেসব ইচ্ছা ও সংকল্পের জন্ম নেয়, তার মধ্যে আপন মনকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও আত্মশুদ্ধ করে তোলার সংকল্পই সর্বশ্রেষ্ঠ। কারণ, এই শুদ্ধি-অভিযানের মাধ্যমে মনমানসকে পবিত্র করা হয় শিরকের ধ্বংসাত্মক ব্যাধি থেকে। প্রবৃত্তিকে পরিচ্ছন্ন করা হয় মহান রবের অবাধ্যতা ও পাপাচারের আবর্জনা থেকে এবং তাকে এমন ইলম, আমল ও কথাবার্তার অধিকারী করা হয়, যার সংস্পর্শে তা হয়ে উঠতে পারে বরকতময় ও পবিত্রতার অধিকারী পুণ্যাত্মা।
মূলত আত্মশুদ্ধি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ, আপনি লক্ষ করলে দেখবেন, মানুষের মাঝে যারা অপরের দিকনির্দেশক ও সংশোধক শ্রেণি, স্বয়ং তারাই সর্বপ্রথম এটা অর্জন করে থাকেন। যেমন: দেখুন, সবার প্রথম এর প্রতি মনোযোগ দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহর রাসুলগণ। তাঁরাও অন্যকে সংশোধন করার পূর্বে প্রথমে নিজেদের মনমানস ও হৃদয়কে উত্তমরূপে পরিশুদ্ধ করেছেন। আর স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা আপন নবি ও রাসুলদের ব্যাপারে সাক্ষ্য দিয়েছেন যে, বান্দাদের মাঝে তাঁর এ বিধান পালনের ক্ষেত্রে তাঁরা ছিলেন যেন সুউচ্চ শৃঙ্গের উপমা!
এভাবে নিজেদের কার্য সফল করার পর নবি-রাসুলগণ দ্বিতীয় আদেশ পালনের প্রতি মনোনিবেশ করেন। অর্থাৎ, তাঁরা আল্লাহর আদেশ পালন এবং তাঁদের প্রেরিত হওয়ার উদ্দেশ্য সফল করার লক্ষ্যে আল্লাহর অন্য বান্দাদেরও পরিশুদ্ধ করার জন্য সচেষ্ট হন।
শয়তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ
শয়তান যেহেতু প্রতিনিয়তই আমাদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত আছে, তাই আমাদেরও প্রতিটি মুহূর্তেই শয়তানের সাথে পালটা যুদ্ধে ব্যস্ত থাকা আবশ্যক।
শয়তানের আক্রমণের জন্য বসে বসে অপেক্ষা না করে আমাদের বরং আগ্রাসি ভূমিকা পালন করা উচিত। আর আগ্রাসি ভূমিকা পালনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ কৌশল হলো, সবসময় পবিত্র অবস্থায় থাকা। অর্থাৎ সবসময় অজু বা গোসলের হালতে থাকা। আমরা আল্লাহ তাআলার জিকিরের মাধ্যমেও শয়তানের বিরুদ্ধে তৎপর থাকতে পারি।
নিয়মিতভাবে কুরআন তেলাওয়াত করতে পারি। সর্বোপরি, নিজেদের দম্ভ ও অহংকারকে সংযত রাখার মধ্য দিয়েও আমরা শয়তানকে মুকাবেলা করতে পারি। শয়তান মূলত তার অহংকার ও দম্ভের কারণেই জান্নাতে প্রবেশ করার সুযোগ পায়নি, বরং বহিষ্কৃত হয়েছে।