পৃথিবীতে নানা জাতি সৃষ্টির কারণ কী? [MCQ]

4.7/5(8 votes)

Question: পৃথিবীতে নানা জাতি সৃষ্টির কারণ কী?

উত্তরঃ A. ভৌগোলিক

Explanation:- ভৌগোলিক কারণে পৃথিবীতে নানা জাতির সৃষ্টির হয়েছে ৷

জাতির সজ্ঞাঃ

যে সংগঠিত জনগোষ্ঠীর ভাষা রয়েছে, সংস্কৃতি রয়েছে এবং দীর্ঘকাল ধরে একটি নির্দিষ্ট এলাকায় বসবাস করছে সেই মানবগোষ্ঠীকে জাতি বলে।

জে. ভি. স্তালিনের মতে, ‘জাতি হলো ইতিহাসের (অর্থাৎ সমাজের ক্রমবিকাশের) বিভিন্ন যুগের মধ্য দিয়ে ক্রমবিকাশ-প্রাপ্ত, এক ভাষা-ভাষী, নির্দিষ্ট স্থানে বসবাসকারী, একই অর্থনৈতিক জীবনসম্পন্ন এবং সাংস্কৃতিক ক্রিয়াকলাপের মধ্য দিয়ে প্রকাশিত একই মানসিক গঠনযুক্ত স্থায়ী জনসমাজ’ (রায়, ১৯৬৯)।

সুপ্রকাশ রায়ের মতে, ‘আধুনিক জাতি হল- দীর্ঘকাল হতে কোনো নির্দিষ্ট স্থানে একত্রে বসবাসকারী, একই ভাষাভাষী এবং একই অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধনে আবদ্ধ বিভিন্ন একবংশজাত গোষ্ঠী অথবা মূল মানব-শাখাজাত গোষ্ঠীর ঐক্যবদ্ধ রূপ’ (রায়, ১৯৬৯)।

হারুনর রশিদের মতে, ‘জাতি হল ঐতিহাসিকভাবে সংগঠিত একটি জনগোষ্ঠী। একই এলাকা, ভাষা, নৃতত্ত্ব, সংস্কৃতি, ধর্ম ইত্যাদিকেই সাধারণভাবে জাতীয়তার ভিত্তি বলে বিবেচনা করা হয়’ (রশিদ, ১৯৯৯)।

বাংলা একাডেমির ইংলিশ টু বাংলা অভিধানে বলা আছে- ‘Nation: একটি বিশেষ ভূখণ্ডে বসবাসকারী সাধারণত এক ভাষাভাষী এবং একটি রাজনৈতিক চারিত্র্য বা আশা-আকাঙ্ক্ষাবিশিষ্ট বৃহৎ জনগোষ্ঠী; জাতি’ (Siddiqui et al. 2012) 1

সৌরেন্দ্র মোহন গঙ্গোপাধ্যায়ের মতে, ‘জাতি হলো নির্দিষ্ট কোনো ভৌগোলিক এলাকার জনগণ যখন একই বংশ, ধর্ম, ভাষা ও সংস্কৃতির ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ এবং সুখ-দুঃখ, ত্যাগ, আবেগ, ঐতিহ্য ও গৌরববোধে অভিন্ন হৃদয় হয়ে একই সামাজিক, রাজনৈতিক ও অথনৈতিক লক্ষ্যে উপনীত হতে চায় এবং অন্যান্য জাতিত্ব থেকে নিজেদের পৃথক মনে করে…’ (গঙ্গোপাধ্যায়, ১৯৯৭)।

লর্ড ব্রাইস-এর মতে, ‘জাতি হলো রাজনৈতিকভাবে সংগঠিত বহিঃশাসন হতে মুক্ত অথবা মুক্তিকামী একটি জনসমাজ।’

বার্জেস-এর মতে, ‘জাতি হচ্ছে একই বংশোদ্ভূত জনসমষ্টি, যাদের মধ্যে ভৌগোলিক ঐক্য বিদ্যমান।’

লিকক-এর মতে, ‘জাতি এমন এক জনসমষ্টিকে নির্দেশ করে, যা একই বংশ ও একই ভাষাগত ঐক্যের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত।’

Scroll to Top