[MCQ] যুক্তিবিদ্যার জনক কে | Father of Logic

5/5 - (17 votes)

Who is the Father of Logic? | প্রিয় ভিউয়ার, যুক্তিবিদ্যার জনক কে? এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটির উত্তর জানতে অনেকেই আগ্রহী । আপনারা অনেকে অনলাইনে খুজে থাকেন কিন্তু “যুক্তিবিদ্যার জনক বলা হয় কাকে” প্রশ্নটির সঠিক উত্তর খুজে পান না ৷ সঠিক উত্তরটি জানতে প্রিয়বিডির সাথেই থাকুন ৷ ধন্যবাদ ৷

Father of Logic

[MCQ] প্রশ্নঃ যুক্তিবিদ্যার জনক কে | Who is the Father of Logic?

  • সক্রেটিস
  • প্লেটো
  • এরিস্টটল
  • আল ফারাবি

উত্তরঃ এরিস্টটল

যুক্তিবিদ্যার ধারণাঃ Concept of Logic

ইংরেজি ‘Logic’ শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ হলো যুক্তিবিদ্যা ‘Logic’ শব্দটি এসেছে গ্রিক ‘ Logike ‘ থেকে । Logike শব্দটি গ্রিক শব্দ ‘Logos’- এর বিশেষণ । ‘Logos’ শব্দের অর্থ ‘ চিন্তা ’ , ‘ ভাষা ’ বা ‘ শব্দ ’ । তাই ব্যুৎপত্তিগতভাবে যুক্তিবিদ্যা শব্দটি দিয়ে ভাষায় প্রকাশিত চিন্তার বিজ্ঞানকে বোঝায় । আবার ‘ Logos ‘ এর অন্য অর্থ ‘ ভাষা ’ বা ‘ শব্দ ’ হওয়ায় বলা যায়- শব্দ দিয়ে গঠিত , ভাষার মাধ্যমে প্রকাশিত যৌক্তিক চিন্তার বিজ্ঞান হলো যুক্তিবিদ্যা ।

বিশ্বের প্রথম শিক্ষক বলে খ্যাত প্রাচীন গ্রিক যুক্তিবিদ এরিস্টটল এই অর্থেই যুক্তিবিদ্যার প্রচলন করেছিলেন । তবে চিন্তা বলতে তিনি যা বুঝিয়েছেন অর্থাৎ তার আলোচনা থেকে যা বোঝা যায় , তা হলো অনুমানমূলক চিন্তা বা যৌক্তিক চিন্তা । চিন্তা বিষয়টি নিয়ে এরিস্টটলের সময়ে তেমন কোনো অর্থ – বিভ্রান্তি হয়ত ছিল না । আর সে কারণেই হয়তো তিনি সবিচার চিন্তা বা যুক্তিমূলক চিন্তার বিজ্ঞান বোঝাতেই যুক্তিবিদ্যাকে চিন্তার বিজ্ঞান বলেছেন । তবে সমকালীন যুগে যুক্তিবিদ্যাকে চিন্তার বিজ্ঞান না বলে যুক্তির বিজ্ঞান বলার প্রচলন হয়েছে । এর কারণ প্রধানত দুটি ।

প্রথমত : ‘চিন্তা’ শব্দটি এখন ব্যাপক অর্থবোধক । আবেগ , কল্পনা , ইচ্ছা , আকাঙ্ক্ষা , এমনকি অস্বাভাবিক ভাবনাকেও চিন্তা বলা হয় । কিন্তু যুক্তিবিদ্যা আবেগ , কল্পনা বা আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আলোচনা করে না । যুক্তিবিদ্যা আলোচনা করে সবিচার চিন্তা ( Reasoning ) নিয়ে । এ প্রসঙ্গে স্টেবিং বলেন : “ চিন্তন শব্দটির ব্যাপক অর্থে প্রত্যেক মানুষই চিন্তা করে । কিন্তু সূক্ষ্ম অর্থে যেখানে চিন্তা করা বলতে যুক্তিযুক্তভাবে চিন্তা করা বোঝায় , সে অর্থে কিছু মানুষ কখনই চিন্তা করে না এবং কোনো মানুষই সব সময় চিন্তা করে না , এমনকি যখন তাকে চিন্তারত বলে মনে হয় তখনও সে চিন্তামগ্ন নাও থাকতে পারে ।

কেননা সাধারণ চিন্তা ও যুক্তিমূলক চিন্তা এক নয় । তাই যখন কাউকে চিন্তারত বলে মনে হয় তখন সে যুক্তিমূলক চিন্তা নাও করতে পারে । স্টেবিং বলেছেন , যুক্তিবিদ্যা সর্বাধিক প্রচলিত ও প্রাসঙ্গিক অর্থে যুক্তিমূলক চিন্তা ( Reflective Thinking ) – এর সাথে যুক্ত । এখানে যুক্তিমূলক চিন্তা আর যুক্তি মূলত একই কথা । তাই এই দৃষ্টিভঙ্গি মেনে নিয়েও যুক্তিবিদ্যাকে যুক্তিমূলক চিন্তনের বিজ্ঞান না বলে সরাসরি যুক্তির বিজ্ঞান বলা চলে ।

দ্বিতীয়ত : ‘Logic’ শব্দের অর্থ যেহেতু আমরা যুক্তিবিদ্যা বলে থাকি , তাই যুক্তিবিদ্যাকে সরাসরি যুক্তির বিজ্ঞান বলাই শ্রেয় । সমকালীন যুগে আরভিং এম . কপি প্রমুখ যুক্তিবিদও যুক্তিবিদ্যাকে যুক্তির বিজ্ঞান ( Science of Reasoning Argument ) বলার পক্ষপাতী । তবে যুক্তির বিজ্ঞান বলতে এখানে মূলত যুক্তির বৈধমান যাচাইয়ের বিজ্ঞানকেই বোঝানো হয় । অর্থাৎ যুক্তিবিদ্যা হলো এমন একটি বিজ্ঞান যা বৈধ যুক্তি থেকে অবৈধ যুক্তির পার্থক্য নির্ণয় এবং বৈধ যুক্তির প্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করে । তাই যুক্তিবিদ্যা হলো আদর্শ যুক্তির বিজ্ঞান ।

  • যুক্তিবিদ্যার ইংরেজি প্রতিশব্দ কি?

    উত্তরঃ যুক্তিবিদ্যার ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো ‘Logic’ শব্দটি গ্রিক logos শব্দ থেকে এসেছে। logos শব্দের অর্থ হচ্ছে চিন্তা, ভাষা, শব্দ বা উক্তি। যুক্তিবিদ্যার জনক[Father of Logic] বলা হয় এরিস্টটলকে ৷

  • প্রতীকী যুক্তিবিদ্যার জনক কে?

    উত্তরঃ প্রতীকী যুক্তিবিদ্যা[Symbolic logic] জনক বলা হয় Irving Marmer Copi কে ৷