বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তি কোনটি? MCQ
A) | মমত্ববোধ |
B) | ভ্রাতৃত্ববোধ |
C) | ধর্মীয় ঐক্য |
D) | ঐক্য ও সংহতি |
বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তি হলো ঐক্য ও সংহতি ৷
বাঙালি জাতীয়তাবাদ
১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র আত্মপ্রকাশ করে। শুরু থেকেই পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী পূর্ব বাংলার ওপর নানা বৈষম্যমূলক নীতি গ্রহণ করে। প্রথম আঘাত আসে বাঙালির মুখের ভাষার ওপর। পূর্ব পাকিস্তান তথা পূর্ব বাংলার অধিবাসীদের মাতৃভাষা বাংলা। তাই সমগ্র পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা উর্দু করার অন্যায় ঘোষণার প্রতিবাদে ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ আন্দোলন শুরু হয়। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’ গঠিত হয়।
পাকিস্তানের মোট জনগোষ্ঠীর ৫৬ শতাংশের মুখের ভাষা বাংলা হওয়া সত্ত্বেও শাসকগোষ্ঠী সংখ্যালঘিষ্ঠ মাত্র ৩.২৭ শতাংশ জনগণের ভাষা উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু বাঙালি ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এ বৈষম্যমূলক আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানায়। তারা দেশব্যাপী তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ছাত্রদের মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে সালাম, রফিক, জব্বার ও বরকত প্রমুখ শহিদ হন। শহিদদের আত্মত্যাগের স্মৃতি অমর করে রাখতে শহিদ মিনার স্থাপন করা হয়। অবশেষে ১৯৫৬ সালের সংবিধানে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলার মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং বিকশিত হয় বাঙালি জাতীয়তাবাদের চেতনা।
আরও দেখুনঃ-