ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় | Skin Health tips

5/5 - (6 votes)

Skin Health tips | ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়: আসসালামু আলাইকুম প্রিয় বন্ধুরা, আজকে আলোচনা করবো ত্বকের সুরক্ষা নিয়ে ৷ ত্বক অপানার শারীরীক সৌন্দর্যের ভিত্তি ! যদি ভিত্তিই দুর্বল হয় , তাহলে তার ওপর মজবুত বাড়ী কি করে গড়ে উঠবে ? সুতরাং , ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষার দিকে আপনাকে নিয়মিত রূপে দৃষ্টি দিতে হবে – একমাত্র তাহলেই আপনার স্বাস্থ্য এবং সৌন্দর্য্য বজায় থাকবে । বাচ্চাদের ত্বক অত্যন্ত কোমল হয় । যুবাবস্হায় পা রাখতেই হরমোনের জন্য শারীরীক পরিবর্তন হতে থাকে আর ব্রণ ইত্যাদি দেখা দেয় । বয়স বাড়ার সঙ্গে – সঙ্গে মুখে নানারকম দাগও পড়তে থাকে । ত্বকের যত্ন নিয়ে বিস্তারিত জানতে প্রিয়বিডি’র সাথেই থাকুন ৷ ধন্যবাদ ৷

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় | Skin Health tips

ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় ও খাদ্য | Home remedies for skin care

ত্বকের স্বাস্হ্যের(Skin health) জন্য ওর নতুন সেল তৈরী হওয়া খুবই জরুরী । পুরোন সেল পড়ে যাওয়া এবং সেই জায়গায় নতুন সেল তৈরীর চক্র ভাল রক্তসঞ্চারের ওপর ভিত্তি করে থাকে ! ভিটামিন ‘ সি ’ রক্তকে শুদ্ধ করে । ভাল ত্বকের জন্য কমলালেবু , লেবু , আঙ্গুর , সবুজ সব্জী এবং আলু বেশী করে খান । ত্বককে সুস্হ রাখতে ভিটামিন বি -২ চাই । এটা তাজা সব্জী এবং দুধে পাওয়া যায় । শরীর ভিটামিন সি – কে নিজের মধ্যে একত্রিত করে রাখতে পারে না , তাই এটা আহারের মাধ্যমে রোজ নিন । ত্বককে তাজা রাখতে জল প্রচণ্ড জরুরী । দিনে অন্ততঃ ৭-৮ গ্লাস জল খান । এতে পেট পরিষ্কার থাকবে এবং ত্বকও কোমল থাকবে ।

ভিটামিনের অভাবে ত্বক/Skin রুক্ষ হয়ে পড়ে , তাই ত্বককে সুস্হ রাখতে জলের গুরুত্ব অপরিসীম ! সম্ভব হলে সকাল – সন্ধ্যে স্নান করা উচিত , তা না হলে দিনে একবার স্নান অতি অবশ্যই করবেন । যাদের মুখে ব্রণ বা ভাঁজ আছে , তারা তৈলাক্ত জিনিয খাবেন না । এতে তেল গ্রহি অধিক সক্রিয় হয়ে ওঠে আর লোমকূপে বাধা সৃষ্টি হয়ে পড়ে । চা , কফি ইত্যাদি গরম জিনিষের সেবন একটা সীমিত মাত্রায় করা উচিত ।

ত্বক/Skin হচ্ছে শরীরের এক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ! এই জিনিষটা অত্যন্ত কোমল হয় , সুতরাং এর ওপরে সব জিনিষের প্রভাব অত্যন্ত দ্রুত পড়ে । যদি কারও এ্যানিমিয়া থাকে আর পেট ভাল না থাকে , তাহলে ওর মুখে ব্রণ বেরোবে । ক্লান্ত থাকলে বা ভাল ঘুম না হলে চোখের কোলে কালো দাগ পড়ে যায় । অসত্তলিত আহার এবং রক্ত সঞ্চালন ঠিক না হলে রং ফ্যাকাশে হয়ে পড়বে । ত্বক দেখে লোকের সুস্হতা – অসুস্হতার ব্যাপারে জানা যায় । সুতরাং ত্বকের ভেতর এবং বাহির – দুদিকেরই যত্ন নেওয়া আবশ্যক ! ত্বককে পরিস্কার রাখুন , সত্তলিত আহার গ্রহণ করুন এবং জল – হাওয়া এবং প্রসাধন দ্বারা একে কান্তিময় বানিয়ে রাখুন ।

ত্বকের প্রকারভেদ :

  • সাধারণ ত্বক
  • শুষ্ক ত্বক
  • মিশ্রিত ত্বক

সাধারণ ত্বক : এটা তেলতেলেও হয় না , আবার শুষ্কও হয়না । এটা দেখলে বা ছুঁলে খুবই মসৃণ এবং মোলায়েম মনে হয় । কখনো – কখনো দু – একটা ব্রণও বেরিয়ে আসে ।

শুষ্ক ত্বক : দেখতে এই ত্বক রুক্ষ , নীরস দেখায় , বিশেষ করে গাল আর চোখের আশপাশে । এমন কি যুবাবস্হাতেই গাল , চোখ আর ঠোঁঠের আশপাশে দাগ পড়ে যায় ! শীতকালে এই ত্বক লাল হয়ে পড়ে , কিন্তু এই ধরনের ত্বকের একটা লাভ হল যে , এই ত্বকে/Skin ব্রণ হয়না ।

মিশ্রিত ত্বক : কিছু লোকের ত্বক কিছুটা তেলতেলে আবার কিছুটা শুষ্ক হয় । ওদের ত্বকের দেখাশোনা বিশেষভাবে করতে হবে । নাকের পাশটা তেলতেলে হয় আর থুতনীর কাছটা হয় শুষ্ক ! কপাল হয় তেলতেলে আর চোখের কাছটা শুষ্ক ! এজন্য চোখের কোলে ভাঁজ পড়ে যায় আর থুতনী , কপাল আর নাকের আশপাশে ব্রণ বেরিয়ে আসে ।

ফেস প্যাক :

এতে ত্বক সুস্হ এবং কোমল হয় আর রক্তসঞ্চার ঠিকঠাক বজায় থাকে । এটা হচ্ছে ত্বকের পক্ষে সর্বোত্তম টনিক । যদি এটা সপ্তাহে নিয়ম করে এক বা দুবার লাগানো যায় , তাহলে ত্বক দারুণ হয়ে ওঠে ।

কোথাও যাবার আগে ফেস প্যাক লাগালে ত্বক চমকদার হয়ে ওঠে , ওর ওপর মেক – আপ করাও সহজ হয়ে পড়ে এবং মেক – আপ অনেকক্ষণ টিকেও থাকে ।

এমনিতে তো বাজারে তৈরী ফেস প্যাক পাওয়া যায় , যাতে নির্দেশানুযায়ী জল মিলিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে । কিন্তু আপনি নিজেও ফেস প্যাক তৈরী করতে পারেন । নীচে ত্বক অনুযায়ী কিছু ফেস পাকে তৈরীর বিধি দেওয়া হল । সব ফেস প্যাক সব রকমের ত্বকের অনুকূল হয় না । সুতরাং নিজের ত্বক অনুযায়ী ফেস প্যাক বেছে নিন ।

শুষ্ক ত্বকের যত্ন : Dry skin care

  • একটা ডিমের হলুদ অংশে এক চামচ বাদাম রোগন মিশিয়ে মুখ আর ঘাড়ে ১৫-২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন , তারপর গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ।
  • অলিভ অয়েলের একটা ফোঁটা দু – চামচ ময়দায় মিলিয়ে পেস্ট তৈরী করে নিন । আধ ঘণ্টা পর্যন্ত্য মুখে লাগিয়ে রেখে বৃষ্টির জল বা গোলাপজলে ধুয়ে ফেলুন ।

সাধারণ ত্বকের যত্ন : General skin care

  • দু – চামচ ময়দায় দুধ মিশিয়ে ফোটান । ওতে কিছুটা গোলাপজল ফেলে মুখে গরম – গরম লাগান । ১৫ মিনিট পর গরম জলে ধুয়ে ফেলুন ।
  • একটু আটায় জল মিশিয়ে হাল্কা আঁচে পাঁচ মিনিট রাখুন । এক চামচ মধু মিশিয়ে গরম – গরম মুখে লাগান । ১৫-২০ মিনিট পর গুমগুনে গরম জল আর সাবান দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন ।
  • এক চামচ মধুতে আমলা তেলের কয়েকটা ফোঁটা মিশিয়ে মুখে আর গলায় লাগান । ১০ মিনিট পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন । এতে ত্বক কোমল হবে আর মুখে ভাঁজ পড়বে না ।

তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন : Oily skin care

  • ট্যাল্কম , কর্নফলাওয়ার সমান মাত্রায় নিয়ে ওতে একটু জল মেশান । এই পেষ্ট মুখে আর গলায় ২০ মিনিট ধরে লাগান । এরপর এস্ট্রিজেন্টে ভেজানো তুলো দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন ।
  • ডিমের সাদা অংশটাকে ভাল করে ফেঁটিয়ে পুরো মুখে লাগান এবং শুকিয়ে গেলে এস্ট্রিজেক্ট লোশন দিয়ে পরিষ্কার করে নিন ।

শশা কুরে ওতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস আর এক চামচ গোলাপ জল মেলান । একে কাপড়ের দুটো টুকরোর মাঝে রেখে মখে লাগান । ১৫ ২০ মিনিট পর মুখ পরিষ্কার করে নিন । ফেস প্যাক নির্দিষ্ট সময়ের বেশী মুখে লাগিয়ে রাখবেন না । চোখের চার পাশে ফেস প্যাক লাগাবেন না । চোখের ওপর ঠাণ্ডা জলে তুলো ভিজিয়ে রাখা উচিত ।

তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ দূর করার উপায় : Ways to get rid of acne on oily skin

ব্রণ : এটা হচ্ছে তরুণ বয়সের রোগ । এই সময়ে শরীরে হরমোনাল পরিবর্তন হয় ! তেল গ্রন্থি অধিক মাত্রায় সক্রিয় হয়ে উঠে শরীরকে বেশী মসৃণতা প্রদান করতে থাকে । বেশী মসৃণতায় কখনো – কখন্যো রোমকূপে মাটি , ধুলো মিশে ওগুলোকে বন্ধ করে দেয় । এর ফলে ব্রণের সৃষ্টি হয় । ব্রণ নিজে থেকেই ঠিক হয়ে যায় , কিন্তু কখনো – কখনো যত্ন না করলে সুন্দর মুখকে নষ্ট করে দেয় ।

তৈলাক্ত ব্রন দূর করার জন্য যা মনে রাখা উচিত :

  • সহজে হজম হয় , এমন খাবার খান ।
  • ঘি , মশলা , আচার ইত্যাদি খাওয়া একদম বন্ধ করে দিন ।
  • চা , কফি , মিষ্টি খাওয়াও ক্ষতিকারক !
  • সবুজ শাক – সব্জী , ফল বেশী করে খান ।
  • রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে গরম জলে লেবু নিংরে খান , এতে পেট পরিষ্কার থাকবে । কোষ্ঠকাঠিন্যর জন্য ব্রণ হয়না ঠিকই , কিন্তু বেড়ে ওঠে ।
  • ব্যায়াম করলে গোটা শরীর ফিট হয়ে ওঠে । সাঁতার কাটলে ব্যায়ামও হবে আর খোলা বাতাস – রোদও পাওয়া যাবে ।
  • দিনে তিনবার কোন ভাল সাবান দিয়ে মুখ ধোন । রাতে মেডিকেটেড ক্রীম লাগান আর পরের দিন সকালে মুখ ধয়ে ফেলুন । তিন – চার দিন পর মুখে ভাপ দিন , এতে মুখ পরিষ্কার হবে আর রোমকূপ খুলবে । ভাপ দেবার জন্য পাত্রে ফুটত জল রেখে মুখ ( তোয়ালে দিয়ে ঢেকে ) পাত্রের ওপরে রেখে ভাপ নিন । ব্রণ যদি খুব বেশী হয় , তাহলে কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন ।
  • ত্বক পরিষ্কার রাখুন । বাজে সাবান , প্রসাধন লাগাবেন না । শুষ্ক ত্বকে সাবান লাগাবেন না ।
  • ব্রণকে টিপে ফাটাবেন না । বরিক পাউডার দিয়ে মুছুন । ব্রণ থেকে পুঁজ বেরোতে থাকলে তুলো দিয়ে মুছুন ।

মেয়েদের ত্বক ফর্সা করার সবচেয়ে ভালো ক্রিম : Best skin lightening cream for girls

ত্বক মানুষের দেহের বাহ্যিক অংশ । তাই ত্বকের যত্ন, সুরক্ষা এবং ফর্সা করা প্রত্যেকের প্রতিদিনের রুটিন । বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে ত্বকের গুরুত্ব তো দিক । ন্যাচারালি ভাবে স্কিন প্যাক এর মাধ্যমে ত্বকের সুরক্ষা অনেকাংশই নেওয়া যায় । এখন বাজারে কিছু ত্বক ফর্সা করার বিভিন্ন আইটেমের ক্রিম পাওয়া যায় । এগুলোকে আমি কখনোই সাজেস্ট করবো না । কারণ এ সকল ক্রিম আপনার উপকারের চেয়ে ক্ষতি করতে পারে । তারপরও আমি জনপ্রিয় মেয়েদের ত্বক ফর্সা করার সবচেয়ে ভালো ক্রিম গুলো একটি লিষ্ট দিচ্ছি, যেগুলো মেয়েদের পছন্দ বেশি ।

  1. Wow Fairness Cream
  2. Himalaya herbal Clear Complexion
  3. OLAY White Residence
  4. 03+ Whitening Cream
  5. Bella Vita Papayablem Anti Blemish