মাদার তেরেসা কত বছর বয়সে মারা যান?
সঠিক উত্তর দেখুন
উত্তরঃ (C) ৮৭ বছর ৷
Explanation
মাদার তেরেসা মমতাময়ী এক নারী। তিনি তার জীবন-যৌবনকে উৎসর্গ করেছিলেন দুস্থ মানুষের সেবায়। তিনি জীবনের প্রায় প্রতিটি মুহূর্ত ব্যয় করেছেন পথের ধারে পড়ে থাকা অসহায় মানুষের সেবায়, কল্যাণে। মায়ের মমতা দিয়ে তিনি মুমূর্ষু অনাথ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
সেবা শুশ্রূষা করে তাদের নতুন জীবন দান করেছেন। একটার পর একটা অনাথ আশ্রম গড়ে তুলে অসহায় দুস্থ অনাথ স্বপ্নহীন মানুষকে আশ্রয় দিয়ে তাদের নবজীবন দান করে অতুলনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। আর এ জন্যেই তাকে মাদার উপাধিতে ভূষিত করা হয়। তিনি বিশ্ববাসীর কাছে মাদার তেরেসা নামেই সুবিখ্যাত। মাকে তো মাদারই বলতে হয়।
মাদার তেরেসার বিশ্বব্যাপী ছড়ানো কর্মকাণ্ডের প্রধান কেন্দ্র ছিলো আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের একটি রাজ্য পশ্চিম বঙ্গের কলকাতায়। কলকাতার ছোট্ট একটি ভাড়া করা ঘরে তিনি তাঁর স্বপ্নের বীজ বপন করেছিলেন। পরবর্তীকালে শাখা-প্রশাখায় বিস্তৃত হয়ে তা সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি আমাদের বাংলাদেশেও নানা জাতীয় দুর্যোগে ছুটে এসেছেন কয়েকবার। সেবা-যত্ন করেছেন বন্যাদুর্গত ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত মানুষকে। তাই তিনি আমাদেরও অনেক আপনজন। অনেক শ্রদ্ধার।
মাদার তেরেসার কর্মমুখর জীবনের প্রতিটি অধ্যায় উজ্জ্বল আলোকশিখায় দীপ্ত। তিনি কখনো হার মানতে জানতেন না। তিনি কখনো কোনো অবস্থাতেই ভেঙে পড়তেন না। তিনি জীবনব্যাপী প্রচণ্ড পরিশ্রম করে মানুষ ও মানবতার সেবা করে গেছেন। কখনো অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করেননি। ক্লান্ত হননি মানুষের সেবা করতে গিয়ে। তিনি প্রচণ্ড পরিশ্রমী নারী ছিলেন। খুব কম নারীই পারেন এমন পরিশ্রম করতে।
মানুষকে ভালোবেসেই কেবল মানুষের সেবা করা যায়। মাদার তেরেসার মানব সেবার এই পথটি কিন্তু সহজ, সরল ও মসৃণ ছিলো না। তাকে চিরকুমারী থাকতে হয়েছে। এক সময় সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের হাতে লাঞ্ছিত নিগৃহিত হতে হয়েছে। তবু তিনি দমেননি। নীরবে মানবসেবা করে গেছেন। তাঁর সৌভাগ্য যে, সমাজের সাধারণ মানুষ সব সময় তাঁর পাশে থেকেছে। তার কল্যাণকামী কাজে সবাই একাত্ম হয়ে সাহায্য করেছে।
মাদার তেরেসা তাঁর মহত্ব ও মহত্তম সেবাকর্মের জন্য শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেছিলেন। নোবেল পুস্কারের সব অর্থই তিনি দান করে গেছেন মানবতার সেবায়। অনাথ আশ্রমের কল্যাণে ব্যয় করেছেন তার অর্জিত সকল অর্থ। উপঢৌকন পুরস্কারের সাহায্যের কোনো অর্থ কখনো ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ব্যয় করেননি। কারণ তিনি তাঁর জীবনটাইতো উৎসর্গ করেছিলে মানুষের সেবায়। মানবতার কল্যাণে। সর্বশেষ ভ্যাটিকান সিটি কর্তৃক মাদার তেরেসাকে মহাসাধিকা তথা সেন্ট উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে।
Recommended For You
- ১৯৫২ সালে মাদার তেরেসা নির্মল হৃদয় প্রতিষ্ঠা করেন ৷
- মাদার তেরেজা তার পিতামাতার নয় নম্বর সন্তান ছিলেন ৷
- মাদার তেরেসার আসল নাম বা পুরো নাম আঞ্জেজি গনসে বোজাক্সহিউ ৷
- মাদার তেরেসা ১৯১০ সালে জন্মগ্রহণ করেন ৷
- ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে মাদার তেরেসা দার্জিলিং যান ৷
- মাদার তেরেসা দুঃখী মানবতার সেবার কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৭৯ সালে “নোবেল শান্তি পুরস্কার” অর্জন করেন ৷
- মাদার তেরেসা দার্জিলিং যাওয়ার পথে ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর শুনতে পেলেন ৷
- পোপ দ্বিতীয় জন পল মাদার তেরেজাকে মণ্ডলীর আচার্য পদে ভূষিত করেন ৷
- মাদার তেরেসা ১৯৭৯ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান ৷
- মাদার তেরেসার বাবা মায়ের নাম নিকোলাস বোজাকসহিউ এবং দ্রানাফিল বার্নাই ৷
Related Post
- মাইকেল মধুসূদন দত্ত মৃত্যুবরণ করেন কত সালে? MCQ
- মাদার তেরেসা কত বছর বয়সে মারা যান? MCQ
- মাদার তেরেসা কত সালে মৃত্যুবরণ করেন? MCQ
- অ্যাডা লাভলেস-এর জন্ম-মৃত্যু সাল কোনটি? [MCQ]
- কবি সুফিয়া কামালের প্রথম স্বামী কত সালে মারা যান? [MCQ]
- সুফিয়া কামাল কত সালে মারা যান? [MCQ]
- কাজী নজরুল ইসলাম কত সালে মৃত্যুবরণ করেন [MCQ]