কোন শহরে মাদার তেরেসা তার জীবনের বেশিরভাগ সময় দরিদ্র সেবায় কাটিয়েছিলেন?
সঠিক উত্তর দেখুন
উত্তরঃ (B) কলকাতা ৷
Explanation
১৯২৮ সালে কলকাতায় যাবার জন্য জাহাজে উঠলেন অ্যাগনেস। তার চার সপ্তাহের মধ্যে মাদার কলকাতায় পৌঁছে গেলেন। বিখ্যাত এই কলকাতাই পরবর্তীতে তাঁর সারাজীবনের বাসস্থান হয়ে গিয়েছিলো। কলকাতায় আসার পর মাদারকে প্রথমে কলকাতা, তারপর দার্জিলিং কনভেন্টে থাকতে হলো। কনভেন্টে বড়লোকের ছেলেমেয়েরা পড়তে আসতো।
দার্জিলিং কনভেন্টে তখন ইংরেজি শেখার একটি প্রধান জায়গা ছিলো। অ্যাগনেস সন্নাসিনী শিক্ষিকা হয়ে যোগ দিলেন। সেখানে রোজ প্রার্থনা হতো। ইংরেজিতে তিনি পড়ানোর অভ্যাস করলেন। ভারতের নানান জায়গা থেকে এই কনভেন্টে বাচ্চারা পড়তে আসতো। দুঘন্টা ধরে তাদের লেখাপড়া শেখানো হতো। এর জন্য মাদার বাংলা ও ইংরোজি ভাষা শিখলেন।
ক্রমশ অ্যাগনেসের জীবন নতুনভাবে চলতে শুরু করলো। ১৯৩১ সালের ২৬শে মার্চ তিনি গরীবদের সেবা করার শপথ নেবেন। এরজন্য তাঁকে সারা জীবন কুমারী থাকতে হবে। নান হতে গেলে সম্পূর্ণ নতুন নাম নিতে হয়। আগেকার জীবনের কথা ভুলে যেতে হয়। সন্ন্যাসিনী টেরেস মার্তা ছিলেন একজন ফরাসী। তিনি সকল মিশনারিদের জন্য প্রার্থনা করতেন, তারা সবাই যেন ভালো জীবনযাপন করেন। অ্যাগনেস মার্তার মতো সেই পথে চলাবেন বলে নিজে নাম নিলেন তেরেসা।
দার্জিলিং থেকে সবকিছু শিখে সিস্টার তেরেসা কলকাতায় এলেন। কলকাতা আর দার্জিলিং অনেক অন্যরকম। কারণ দার্জিলিং হিমালয় পর্বতের মধ্যে অবস্থিত।
Recommended For You
- মাদার তেরেসা ১৯১০ সালে জন্মগ্রহণ করেন ৷
- মাদার তেরেসা ১৯৯৭ সালে মৃত্যুবরণ করেন ৷
- মাদার তেরেসা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত সেবা প্রতিষ্ঠান হলো নির্মল হৃদয় ৷
- মাদার তেরেসার আসল নাম বা পুরো নাম আঞ্জেজি গনসে বোজাক্সহিউ ৷
- মাদার তেরেসা দার্জিলিং যাওয়ার পথে ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর শুনতে পেলেন ৷
- মাদার তেরেসা দুঃখী মানবতার সেবার কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৭৯ সালে “নোবেল শান্তি পুরস্কার” অর্জন করেন ৷
- ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে মাদার তেরেসা দার্জিলিং যান ৷
- মাদার তেরেসা ১৯৭৯ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান ৷
- মাদার তেরেসার বাবা মায়ের নাম নিকোলাস বোজাকসহিউ এবং দ্রানাফিল বার্নাই ৷
- মাদার তেরেসা ১৯৯৭ সালে ৮৭ বছর বয়সে মারা যান ৷