মাদার তেরেসা জীবনী সম্পর্কে সংক্ষেপে জানুন
পুরো নামঃ | অ্যাগানিস গঞ্জা বোজাঝিউ ৷ |
ডাক নামঃ | মাদার তেরেসা ৷ |
জন্মস্থানঃ | মেসিডোনিয়া ৷ |
মৃত্যুস্থানঃ | কলকাতা, ভারত ৷ |
জাতীয়তাঃ | আলবেনিয়ান (পরে কলকাতা) ৷ |
জন্মসালঃ | ২৬ আগস্ট ১৯১০ ৷ |
মৃত্যুসালঃ | ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৯৭ ৷ |
পিতার নামঃ | নিকোলাস বোজাকসহিউ ৷ |
মাতার নামঃ | দ্রানাফিল বার্নাই ৷ |
পেশাঃ | ক্যাথলিক সন্ন্যাসিনী, ধর্মপ্রচারক ৷ |
পুরস্কারঃ | নোবেল শান্তি পুরস্কার(১৯৭৯) |
মাদার তেরেসা
মাদার টেরেসা ১৯১০ সালের ২৬ আগস্ট যুগোস্লোভিয়ার স্কপিয়েতে জন্মগ্রহণ করেন। তখন ঐদেশের নাম ছিল ম্যাসিডোনিয়া। পরে আরও এলাকা নিয়ে ১৯১৯ সালে দেশটির নামকরণ করা হয় যুগোস্লোভিয়া। স্কপিয়ে তখন ছিল ছোট শহর। লোকসংখ্যা ছিল ২৫ হাজারের মতো। শহরটি ছিল আলবেনিয়া রাজ্যে। এটা অটোমান সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। কয়েক শতাব্দী ধরে ইসলামিক শাসনাধীন আলবেনিয়াতে তখন ক্ষমতা ছিল তুর্কিদের হাতে। খ্রিস্টান ক্যাথলিকদের সংখ্যা ছিল নগণ্য। তবু নানা ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক শক্তির সমাবেশ ঘটত সে রাজ্যে।
মিশনারি হিসেবে মাদার টেরেসা নাম পাবার আগে তাঁর নাম ছিল অ্যাগনেস গোনাস্কা বোজাঝিউ। পিতা নিকোলাস বোজাঝিউ এবং মাতা ড্রানাফিল বার্নাই। মা ছিলেন নিকটবর্তী ডেনিস-এর মেয়ে। বাবা-মার তিন ছেলেমেয়ের মধ্যে অ্যাগনেসই সবার ছোট। টেরেসার পরিবার ছিল শহরের বাসিন্দা। তাঁর পিতা পেশায় ছিলেন ব্যবসায়ী (ঠিকাদার)। বেশ নাম ছিল তাঁর প্রতিষ্ঠানের। আনন্দে ভরপুর ছিল তাঁদের সংসার এবং খুবই ঘনিষ্ঠতা ছিল পরস্পরের সঙ্গে।
এ আনন্দময় পরিবেশ বেশিদিন স্থায়ী হয়নি অ্যাগনেস-এর জীবনে। মাত্র সাতবছরে পদার্পণকালেই পিতার মৃত্যু ঘটে।
অ্যাগনেস-এর মনটি ছিল ফুলের কোরকের মতো কোমল। বাবার মৃত্যুতে তাই তাঁর মনে আঘাত লাগল প্রচুর। মা তো কয়েক মাস শয্যাশায়ী থাকলেন। তারপর মন শক্ত করে বাচ্চাদের মুখের দিকে তাকিয়ে করলেন নতুন ব্যবসা-এমব্রয়ডারির কাজ-করা কাপড় বিক্রির ব্যবসা।