কত খ্রিষ্টাব্দে মাদার তেরেজা দার্জিলিং যান? MCQ

কত খ্রিষ্টাব্দে মাদার তেরেজা দার্জিলিং যান?

সঠিক উত্তর দেখুন +

উত্তরঃ (C) ১৯৪৮ সালে ৷

5/5(2 votes)
👁‍ 23

Explanation

১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে মাদার তেরেসা দার্জিলিং যান ৷

যে বয়সটি আড্ডা খেলাধুলা আর চঞ্চলতায় কাটিয়ে দেয়ার কথা, ঠিক সে বয়সেই মাদার তেরেসা অসহায় মানুষের সেবায় নিজেকে সঁপে দেবার কঠিন ব্রত করেছিল। নিজ বাসভূম আর আপন মানুষ ছেড়ে বিদেশেই থেকেছেন জীবনের পুরোটা সময়, সেবা করেছেন ভিনদেশী মানুষের।

মেয়েটির কাছে ধর্ম, বর্ণ কিংবা দেশ নয়, মানুষই বড় হয়ে উঠেছিল। তাই তো সুদূর আলবেনিয়া থেকে তিনি ছুটে এসেছেন কলকাতার বাঙালিদের কাছে। দুস্থ মানুষের সেবা করার এই মানসিকতাই তাকে অমর করে রেখেছে। বাঙালিদের কাছে তো বটেই, আর্তমানবতার সেবায় অসামান্য অবদান রাখার জন্য পৃথিবীজুড়েই তিনি স্মরণীয়।

১৯২৯ সালে ভারতে এসে দার্জিলিংয়ে শিক্ষানবীশ হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি সন্ন্যাসিনী হিসেবে ১৯৩১ সালের ২৪ মে প্রথম শপথ গ্রহণ করেন। প্রথাগত নিয়মে অ্যাগনেসের নাম হলো তেরেসা।

মাদার তেরেসা দার্জিলিংয়ে

কলকাতায় আসার পর কয়েকদিন কলকাতায় কাটিয়ে অ্যাগনিস চলে এলেন দার্জিলিং। সন্ন্যাসিনী হওয়ার জন্য কিছু নিয়মকানুন রয়েছে, রয়েছে কিছু প্রশিক্ষণের। এই প্রশিক্ষণ এবং নিয়মকানুনগুলো জানার জন্যই তাকে পাঠানো হয় হিমালয়ের কোল ঘেঁষা ভারতের দার্জিলিংয়ে।

শহরটি ছিল তখনকার ব্রিটিশ ভারতের ইংরেজি শিক্ষার প্রধান কেন্দ্র। এখানকার মিশনারি স্কুলগুলোতে পড়ালেখা করত ভারতবর্ষে কর্মরত ব্রিটিশ নাগরিকদের সন্তানেরা, সেইসঙ্গে স্থানীয় বিত্তবানদের ছেলেমেয়েরাও পড়ালেখার সুযোগ পেত। সন্ন্যাসিনীদের জন্য নির্ধারিত আশ্রমে থেকে অ্যাগনিস ভর্তি হলেন দার্জিলিংয়ের বিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান লরেটো কনভেন্টে। সন্ন্যাসগ্রহণের জন্য ইংরেজি ভাষার সঙ্গে একটি ভারতীয় ভাষা শেখাও বাধ্যতামূলক ছিল।

অ্যাগনিস ভারতীয় ভাষা হিসেবে বেছে নেন বাংলাকে। সেইসঙ্গে নিজের প্রস্তুতির পাশাপাশি তিনি এ সময় দিনে দুই ঘণ্টা করে দরিদ্র শিশুদের পড়ানোর দায়িত্ব নেন। একটি হাসপাতালেও কিছু সময় কাজ করতেন। এখানে দুঃখ ও দারিদ্র্যের সঙ্গে অ্যাগনিসকে যে সংগ্রাম করতে হয়, তা ছিল তার কল্পনারও বাইরে।

শিশুদের পড়ানোর দায়িত্বে শিক্ষিকা হিসেবে তিনি অত্যন্ত দক্ষতা দেখান। এখানে দুই বছর কাটিয়ে ১৯৩১ সালের ২৪ মার্চ তিনি সন্ন্যাস জীবনের প্রথম ধাপ উত্তীর্ণ হন। সন্ন্যাস গ্রহণের প্রথম শর্ত হিসেবে- দারিদ্র্যকে জীবনের অলঙ্কার মনে করা, গির্জার নিয়মনীতির প্রতি বাধ্য থাকা এবং বিয়ে না করাবিষয়ক তিনটি শপথ গ্রহণ করেন। প্রবেশ করেন লরেটা সঙ্ঘের সিস্টার হিসেবে নতুন জীবনে।

এই শপথের পরই অ্যাগনিস প্রথা অনুযায়ী নতুন নাম গ্রহণ করেন। সন্ন্যাস জীবনের শিক্ষানবিশ কাল শেষ করে ফিরে এলেন কলকাতায়। যোগ দিলেন এন্টালির সেন্ট মেরিজ স্কুলে।

Recommended For You

Related Post

  1. মাদার তেরেসা জীবনী সম্পর্কে MCQ বহুনির্বাচনি প্রশ্ন উত্তর
  2. মাদার তেরেজার সংঘ লরেটোর উদ্দেশ্য কোনটি? MCQ
  3. এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম উক্তিটি কার? [MCQ]
  4. ফুয়েরার কার উপাধি? [MCQ]
5/5(2 votes)
Scroll to Top