শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কত সালে প্রকাশিত হয়? [MCQ]

5/5(3 votes)

[Question] শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কত সালে প্রকাশিত হয়?

(ক)১৯১০ সালে
(খ)১৯১২ সালে
(গ)১৯১৫ সালে
(ঘ)১৯১৬ সালে

উত্তরঃ (ঘ) ১৯১৬ সালে


সংক্ষেপে ব্যাখ্যাঃ

১৯১৬ সালে (১৩২৩ সনে) বসন্তরঞ্জন রায়ের সম্পাদনায় গ্রন্থটি বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে প্রকাশিত হয়

‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের প্রথম কাব্য এবং বড়ু চণ্ডীদাস মধ্যযুগের আদি কবি। ভাগবত প্রভৃতি পুরাণের কৃষ্ণলীলা-সম্পর্কিত কাহিনী অনুসরণে, জয়দেবের গীতগোবিন্দ কাব্যের প্রভাব স্বীকার করে, লোকসমাজে প্রচলিত রাধাকৃষ্ণ প্রেম-সম্পর্কিত গ্রাম্য গল্প অবলম্বনে কবি বড়ু চণ্ডীদাস শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য রচনা করেন। ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে (১৩১৬ বঙ্গাব্দ) বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার কাঁকিল্যা গ্রামে এক গৃহস্থ বাড়ির গোয়ালঘর থেকে পুঁথি আকারে এ কাব্য আবিষ্কার করে বাংলা সাহিত্যে এক নতুন অধ্যায়ের সংযোজন ঘটান।

বৈষ্ণব মহান্ত শ্রীনিবাস আচার্যের দৌহিত্র-বংশজাত দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের অধিকারে এই গ্রন্থটি রক্ষিত ছিল। ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে (১৩২৩ সনে) বসন্তরঞ্জন রায়ের সম্পাদনায় গ্রন্থটি বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে প্রকাশিত হয়। বৈষ্ণব মতবাদে গৃহীত রাধাকৃষ্ণের রূপকের বাইরে এ কাব্যের পরিচয়। বৈষ্ণব সাধনা ও ঐতিহ্যের বিরোধী এ কাব্য রুচিহীন গ্রাম্যতা, যৌনকামনা ও মিলনের বর্ণনায় অশ্লীল, সূক্ষ্ম ইন্দ্রিয়াতীত অনুভূতির ব্যঞ্জনার অভাব এ কাব্যকে করে তুলেছে বিতর্ক মুখর। তাই মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন হিসেবে কাব্যটি অচিরেই ব্যাপক কৌতূহলের সৃষ্টি করে।

  • শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের রচয়িতা বড়ু চণ্ডীদাস ৷
  • “শ্রীকৃষ্ণকীর্তন” কাব্য বড়ু চণ্ডীদাস রচনা করেন ৷
  • শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য বসন্তরঞ্জন রায় আবিষ্কার করেন ৷
  • শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য ১৯০৯ সালে আবিষ্কৃত হয় ৷
  • ”শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন” কাব্য ১৩ খন্ডের ৷

আরও পড়ুনঃ