বর্তমানে ব্যবহৃত কম্পিউটার কোন প্রজন্মের? [MCQ]

Question: বর্তমানে ব্যবহৃত কম্পিউটার কোন প্রজন্মের?

সঠিক উত্তরঃ খ) চতুর্থ প্রজন্মের

উত্তরঃ খ) চতুর্থ প্রজন্মের

Explanation:- বর্তমানে ব্যবহৃত কম্পিউটার চতুর্থ প্রজন্মের

চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটার (১৯৭১-বর্তমান)

ক্ষুদ্রাকারের সিলিকন পাতের উপর ইলেকট্রনিক উপকরণ স্থাপন করে সমন্বিত সার্কিট তৈরির প্রক্রিয়া ১৯৬৫ সাল থেকে প্রতি বছর গড়ে দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পেতে থাকে। এই অগ্রসরতার এক পর্যায়ে তৈরি হয় মাইক্রোপ্রসেসর। মাইক্রোপ্রসেসর চিপে কম্পিউটার পরিচালনার জন্য গাণিতিক/যুক্তিমূলক প্রক্রিয়াকরণের কাজ এবং নির্দেশ নির্বাহের জন্য নিয়ন্ত্রণমূলক কর্ম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সব সার্কিট স্থাপন করা থাকে। কম্পিউটারে ব্যবহৃত মাইক্রোপ্রসেসর তৈরির সূচনা হয় ক্যালকুলেটরের জন্য সেমিকন্ডাক্টর মেমোরি চিপ উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে। এই চিপের প্রধান ডিজাইনার ছিলেন ইনটেলের ফেডেরিকো ফ্যাগিন ও টড হফ এবং বুশিকমের মাসাটুশি সিমা। সেই সময়ে ইনটেলের এই উদ্ভাবন টিমের ব্যবস্থাপক ছিলেন লেসলি এল ভাডার্জ।

ইনটেলের প্রথম চিপটি ৪০০০ নামে পরিচিত ছিল। তবে ৪০০৪ প্রসেসরটি প্রথম বাজারে আসে। এটির প্রোগ্রাম এড্রেস ছিল ১২ বিট। এটি ২৩০০ ট্রানজিস্টর দিয়ে প্রস্তুত ছিল। এক বছরের মাঝে এতে ৩৩০০ ট্রানজিস্টর ব্যবহৃত হয়। ৪০০৪ চিপটি ১৯৭১ সালের ১৫ নভেম্বর বাজারজাত করা হয়। এই চিপের চতুর্থ সংস্করণ ৮০৮০ দিয়েই কার্যত মাইক্রোকম্পিউটারের বিপ্লবের সূচনা হয়।

বলা হয়ে থাকে যে, ইনটেলের ৪০০৪ চিপটির ক্ষমতা ছিল ১৯৪৬ সালের এনিয়াক কম্পিউটারের সমান। এনিয়াকের ওজন ছিল ২৭ টন এবং এর জন্য ৬৮০ বর্গফুট জায়গা দরকার হত। অথচ ৪০৪০ তালুতে রাখা যেত। মূলত মাইক্রোপ্রসেসর থেকেই চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটার তৈরির সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। ইনটেল ১৯৭৪ সালে ৮০৮০ মাইক্রোপ্রসেসর তৈরি করে। ১৯৭৫ সালে আলতেয়ার নামে প্রথম কম্পিউটার দিয়ে পিসির যাত্রা শুরু হয়। ১৯৭৬ সালের মধ্যে এ্যাপলসহ অনেকগুলো কম্পিউটার কোম্পানির সফল মাইক্রোকম্পিউটার তৈরির মধ্য দিয়ে চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটারের দ্রুত প্রসার ঘটে।

চতুর্থ প্রজন্মের মাইক্রোকম্পিউটার একেবারে টেবিলের উপর বসিয়ে কাজ করার মতো আকারে ছোট হয়ে আসে। দামও কমে আসে অভাবনীয়রূপে। তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারের তুলনায় চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটারের আকার ও দাম কমে আসার পাশাপাশি কাজের ক্ষমতা ও গতিও বৃদ্ধি পায় বহুগুণে। চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটারের সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম ব্যবহার করে আমাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনের প্রায় সব ধরনের কাজ করা যায়। চতুর্থ প্রজন্মের মাইক্রোকম্পিউটারই সাধারণ স্তরের মানুষের জন্য কম্পিউটার ব্যবহারের সুযোগ করে দিয়েছে এবং কম্পিউটার ব্যবহারের জ্ঞান ও দক্ষতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।

সুতরাং আমাদের হাতে থাকা বর্তমানে ব্যবহৃত কম্পিউটার ৪র্থ প্রজন্মের ৷

Related Questions:-