[Question] আমার বন্ধু রাশেদ উপন্যাসের রচয়িতা কে?
(ক) | মহাম্মদ জাফর ইকবাল |
(খ) | হুমায়ূন আহমেদ |
(গ) | আনিসুল হক |
(ঘ) | রকিব হাসান |
সংক্ষেপে ব্যাখ্যাঃ
আমার বন্ধু রাশেদ উপন্যাসের রচয়িতা হলেন মহাম্মদ জাফর ইকবাল ৷
বাংলাদেশের কিশোর-কিশোরী পাঠকদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় নাম মুহম্মদ জাফর ইকবাল। তিনি মূলত এ দেশের একজন বিখ্যাত লেখক, পদার্থবিদ এবং শিক্ষাবিদ। কিশোর সাহিত্য, শিশুতোষ গ্রন্থ, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী, গণিত বিষয়ক বই এর জন্য খুব অল্প সময়েই জনপ্রিয়তা লাভ করেন তিনি। মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৯৫২ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন।
আমার বন্ধু রাশেদ গল্পে রাশেদ নামের এক দুঃসাহসিক চরিত্রের কিশোরের সাহসিকতা ইবুর লেখনীতে ফুটে উঠেছে। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে লেখা এই বিখ্যাত উপন্যাসটিতে মুক্তিযুদ্ধে কিশোরদের অংশগ্রহণের দিকটি সার্থকভাবে ফুটে উঠেছে। একাত্তরের উত্তাল দিনগুলো যখন ছোট ছোট ছেলেরা বুঝতে পারছে না, রাজনৈতিক সচেতন রাশেদ তখন তার নিজের ভাষায় সহজে সবাইকে বুঝিয়ে দেয়। ঘটনাক্রমে একসময় পাকিস্থানি বাহিনী পূর্ব পাকিস্থানে ঝাঁপিয়ে পড়ে ও রাশেদের ছোট্ট শহরে তারা এসে হাজির হয়। ভয়ানক ধ্বংসলীলার সাক্ষী হতে থাকে রাশেদ।
রাশেদ ও তার কয়েকজন বন্ধু মিলে মুক্তিবাহিনীকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে। যুদ্ধে বন্দি হয়ে যায় মুক্তিবাহিনীর এক সহযোদ্ধা। রাশেদ ও তার বন্ধুরা সেসময় তারা বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে মুক্ত করে নিয়ে আসে মৃত্যু হাত থেকে। এই কৌশলটি বেশ এডভেঞ্চারের সাথে তারা সম্পাদন করে। যুদ্ধের কারণে একসময় রাশেদ ও তার বন্ধুরা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর রাশেদ আরো গভীর ভাবে যুদ্ধে জড়িয়ে পরে। দেশ স্বাধীন হলে তার বন্ধুরা যখন ছোট্ট শহরটিতে আবার ফিরে আসে তখন আবিষ্কার করেন রাশেদ নামের সেই তেজি ছেলেটি আর নেই। রাশেদের স্মৃতিগুলো বন্ধুদের হৃদয়ে বেঁচে থাকে চিরকাল। একাত্তরের এক ত্যাগী কিশোরের গল্প নিয়েই জাফর ইকবাল উপন্যাসটি সাজিয়েছে।
পরিশেষে, আমার বন্ধু রাশেদ উপন্যাসের রচয়িতা হলো মহাম্মদ জাফর ইকবাল ৷
Also Read More:—