[Question] সূর্য দীঘল বাড়ি কার লেখা?
(ক) | অন্নদাশঙ্কর রায় |
(খ) | আবু ইসহাক |
(গ) | মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় |
(ঘ) | জহির রায়হান |
সংক্ষেপে ব্যাখ্যাঃ
সূর্য দীঘল বাড়ি আবু ইসহাক এর লেখা ৷ অর্থাৎ উপন্যাসটির লেখক বা রচয়িতা হলেন আবু ইসহাক ৷ এবং আবু ইসহাকের ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’ দুশান জাজবিভেল কবি অনুবাদ করেন ৷ ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’ চলচ্চিত্রের পরিচালক শেখ নিয়ামত শাকের ৷ ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’ উপন্যাস ধরনের রচনা ৷
সূর্য দীঘল বাড়ি উপন্যাসের প্রেক্ষাপট
আবু ইসহাকের অমর সৃষ্টি বাংলা সাহিত্যের কালজয়ী উপন্যাস সূর্য-দীঘল বাড়ি। পূর্ব-পশ্চিম সূর্য উদয়াস্তের দিক করা বাড়িকে বলা হয় সূর্য-দীঘল বাড়ি।
গ্রামঅঞ্চলে একটা কথা প্রচলিত আছে যে সব বাড়ি সূর্য-দীঘল হয়ে থাকে সে সব বাড়ির বাসিন্দাদের বংশ রক্ষা হয়না।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালের যে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল সেই সময়কার গ্রাম বাংলার সামাজিক ব্যবস্থা এবং এক পরিবারের কথা বলা হয়েছে এই উপন্যাসে। উপন্যাসের মূল চরিত্র “জয়গুন”, যে ছেলে হাসু আর মেয়ে মায়মুন সাথে নিয়ে তিন বেলা খাবারের খোঁজে গ্রাম ছেড়ে শহরে যায়, সেখানে হার মেনে আবার গ্রামে ফিরে এসে “সূর্য দীঘল বাড়ী” ঠাই নেয়। যদিও সে জানত এই বাড়ির বাসিন্দারা নির্বংশ হয়। সেখানে সে এবং তার ভাবী মাথা গোজার জন্য দুটি ঘর তুলে থাকতে থাকে। জয়গুন আর হাসু দুজন মিলে দুবেলা আহারের জন্য টাকা অর্জন করে এবং মায়মুন বাড়িতে থেকে রান্নাবান্নার সব কাজ চালায়।
তার ছেলের বয়স কম হলেও অতটুক বয়সেই মায়ের কষ্ট বুঝে সে কুলির কাজ করে টাকা আনে, নিজের চাইতেও বেশী ওজনের মাল- পত্র মাথায় বয়ে বেড়ায় সে। জয়গুন স্বামী পরিত্যক্ত নারী, তার এক সন্তান কাসু থাকে করিম বখশ নামক তার দ্বিতীয় স্বামীর কাছে। সেই সন্তানের প্রতি তার টান যেন কিছুতেই কমে না। এসবের মাঝে সে তার মেয়ের বিয়ে দেয় কিন্তু মেয়ের কপালেও যেন সুখ সয় না। গ্রামের ক্ষমতাশীল লোকদের নজরে পড়ে জয়গুন প্রথম থেকেই কিন্তু দিনে দিনে এসন যখন সহ্যের সীমানা অতিক্রম করে ঠিক তখনই এক রাতে এই বাড়িতে আবার ভূতের অত্যাচার শুরু হয়। তারপর জয়গুন আবার তার সন্তানদের নিয়ে নতুন করে বাঁচার জন্য অচেনা পথে পা বাড়ায়।
Also Read More:—